Chhal-chhali Jharna
ছলছলি ঝর্ণা :
ছলছলি ঝর্ণা অযোধ্যা পাহাড়ের দর্শনীয় স্থান গুলির মধ্যে অন্যতম। আয়নার দুধের মতো জলধারার সাথে দুইপাশে নানা প্রজাতি উদ্ভিদ প্রজাতির পাখির কলকাকলির দু-ধ্বনী সবার মনকে পুলকিত করে। মনে হবে অন্য জগতে এসে পড়েছি।
উৎপত্তি : নয়না (হেসাডি )নদীর জলধারা তার উৎপত্তি খল থেকে এঁকে-বেঁকে বইতে - বইতে অপর আর নদী নয়না নদীর সঙ্গে মিশে নয়না নদীর জল-প্রবাহকে বাড়িয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার গিয়ে এই ছলছলি ঝর্ণা সৃষ্টি করেছে।
* নদীর দুই প্রান্তে নানা প্রজাতীর উদ্ভিদ দেখে মনকে অতি উৎসাহিত করে তুলে।
যাতায়াত পথ : পুরুলিয়া স্টেশন থেকে সরকারি কিংবা বেসরকারি অথবা ভাড়া গাড়িতে আস্তে পারেন অযোধ্যা পাহাড়। অযোধ্যা হিল টপ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ছোট গাড়ি করে ছলছলি ঝর্ণায় যেতে পারেন। অথবা অযোধ্যা থেকে বাসে ঘাটিয়ালী কিংবা তেলিয়াভাষা থেকে যেতে পারেন। ঘাটিয়ালী থেকে আপনার ১.৫ কিলোমিটার এবং তেলিয়াভাষা থেকে ৫ কিলোমিটার।
সতর্কতা : ছলছলি ঝর্ণা যাওয়ার পথে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কারন পাহাড়ি পথ, সাথে সাথে এবড়ো -খেবড়ো পাথুরে কাঁচা রাস্তা চড়াই উত্তরায়ের মধ্যে যেতে হবে। জুতো পরা আবশ্যক জরুরি।সাথে প্রাথমিক মেডিক্যাল জিনিষ পত্র থাকলে ভালো হয়।
নামকরণ : ছলছলি ঝর্ণা এমন ভাবে তৈরী হয়েছে সেখানে এক বড়ো পাথর প্রায় ১৫ থেকে ২৫ ফুট তার উপর দিয়ে দুই নদীর জলধারা বয়ে যায় সূর্যের এল এসে পড়ায় দেখতে স্ফটিক পাথরের মতো সাদা দেখায় সাথে-সাথে মৃদ্যু মন্দ কলকাকলি শব্দ এক অদ্ভূত পূর্ব সৃষ্টি করেছে এই জন্য এর নাম ছলছলি ঝর্ণা।
ছলছলি ঝর্ণার ভৌগোলিক চিত্র: ছলছলি ঝর্ণা অযোধ্যা পাহাড় থেকে প্রায় ১২কিলোমিটার হেসাডি, গুন্ধলিডি ও ঘাটিয়ালীর গ্রামের পাশে অবস্থিত। এখন থেকে আপনি আরো দর্শনীয় স্থান যেমন - মুরগুমা ডেম , খয়রাবেড়া ডেম কিংবা বামনী ফলস , অপার ডেম লোয়ার ডেম ও যেতে পারেন।
ConversionConversion EmoticonEmoticon